আগামী মোসুমে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো (Cristiano Ronaldo)-কে আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে (Manchester United) নাও দেখা যেতে পারে। শোনা যাচ্ছে গত মরসুমে ক্লাবের খারাপ পারফরম্যান্সের পর আর কোনও বড় তারকাকে দলে রাখতে ইচ্ছুক নয় লাল ম্যানেচেস্টার। রোনাল্ডোও নাকি ম্যানচেস্টার ছাড়তে আগ্রহ দেখিয়েছেন।

এমন সময় রোনাল্ডোর ট্রান্সফার নিয়ে আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে। গত কয়েকদিন ধরে ইউরোপের মিডিয়ায় চলা রোনাল্ডোর ট্রান্সফার নিয়ে চলা নানা জল্পনাকে এক জায়গায় করে বলা হল, কোন পাঁচটা ক্লাবের মধ্যে একটাতে যেতে পারেন রোনাল্ডো। 

১) স্পোর্টিং লিসবন (পর্তুগাল)- জোর জল্পনা নিজের দেশের ক্লাবে ফিরতে পারেন রোনাল্ডো। শোনা যাচ্ছে সিআরসেভেন-কে নিতে ঝাঁপাচ্ছে পর্তুগিজ ক্লাব স্পোর্টিং লিসবন। কিন্তু পর্তুগালের এই ক্লাবের আর্থিক ক্ষমতাটা বড় বাঁধা। ৩৭ বছরের রোনাল্ডো যদি দেশে ফেরার ইচ্ছা রাখেন তবেই এটা সম্ভব।

২)প্যারিস সাঁ জা (ফ্রান্স)– লিওনেল মেসি, নেইমারের সঙ্গে প্যারিসে এক ক্লাবে খেলছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ব্যাপারটা ভাবলেও গায়ে কাঁটা দেওয়ার কথা। ক দিন আগে প্যারিসের এক সংবাদপত্রে প্রকাশ প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে এবার রোনাল্ডোকে নিতে পারে প্যারিস সাঁ জা। গত মরসুমে অধিক সন্নাসীতে গাজন নষ্ট হয়েছিল প্যারিস সাঁ জা-র। রোনাল্ডো এলে সেই সমস্যা বাড়াতে পারে। তবে রোনাল্ডোকে নেওয়ার মত আর্থিক ক্ষমতা আছে প্যারিসের এই ধনকুবের ক্লাবের।

দিবালার সাথে কেন চুক্তি হচ্ছে না?

৩) বায়ার্ন মিউনিখ (জার্মানি)- জার্মানিতে প্রথমবার ক্লাব ফুটবলে খেলতে পারেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। জার্মানির ফুটবলে একচ্ছত্র প্রাধান্য বায়ার্ন মিউনিখের। এবার ইউরোপ সেরা হতে রোনাল্ডোকে নেওয়ার কথা ভাবছে বায়ার্ন। শোনা যাচ্ছে এক তারকা ফুটবলারকে ছেড়ে রোনাল্ডোকে দলে নিতে পারে জার্মান এই ক্লাব। তবে খবর, রোনাল্ডো নিজে বায়ার্নে যোগ দিতে ইচ্ছুক নয়।

৪) এএস রোমা (ইতালি)- রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে ক বছর ইতালির ক্লাব জুভেন্তাসে খেলেছেন রোনাল্ডো। জুভেন্তাসের জার্সিতে নজরও কেড়েছিলেন তিনি। এবার শোনা যাচ্ছে ইতালির ক্লাব এএস রোমা সিআরসেভেন-কে নিতে ঝাঁপাতে পারে।

৫) চেলসি (ইংল্যান্ড)- ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছাড়লেও ইংল্যান্ড ছাড়বেন না রোনাল্ডো। এমন জল্পনা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। লুকাকুকে ছেড়ে দিয়ে একজন পজেটিভ তারকা স্ট্রাইকারের খোঁজে আছে ইংল্যান্ডের নীল জার্সির এই ক্লাব। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল প্যারিস থেকে নেইমারকে চেলসিতে আনা হবে। কিন্তু নেইমার ছাড়ব ছাড়ব করেই শেষ পর্যন্ত প্যারিসে থেকে যান। এবার শোনা যাচ্ছে রোনাল্ডো যোগ দিতে পারেন চেলসিতে।

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ওল্ড ট্র্যাফোর্ড ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করে এরিক টেন হ্যাগের অধীনে তাদের নতুন যুগের জন্য ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের প্রস্তুতিকে নাড়া দিয়েছে।টাইমস এই গল্পটি ভেঙেছে যে রোনালদো, 37,ফিরে আসার এক বছরেরও কম সময় পরে চলে যেতে চায়

জুভেন্টাস থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে।পাঁচবারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ী চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবল খেলা চালিয়ে যেতে আগ্রহী, যা গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ষষ্ঠ স্থানে যাওয়ার পরে ইউনাইটেডের অবিলম্বে ভবিষ্যতের জন্য নয়।ইউনাইটেডের পাবলিক অবস্থান হচ্ছে রোনালদোবিক্রয়ের জন্য নয় এবং 2023 পর্যন্ত চুক্তির অধীনে,

যদিও এই সম্ভাব্য গল্পটি দেখা কঠিনযেমন একটি unventful ফ্যাশন আউট খেলা.অ্যাথলেটিক-এর ডেভিড অর্নস্টেইন রিপোর্ট করেছেন৪ জুলাই চেলসি ক্লাবগুলোর মধ্যে ছিলইউনাইটেড থেকে রোনালদোকে সই করতে আগ্রহী।এটি গত মাসে আবির্ভূত হয়েছিল যে ফরোয়ার্ডের এজেন্ট, জর্জ মেন্ডেস, চেলসির নতুন সহ-মালিক টড বোহেলির সাথে দেখা করেছিলেন এবং একটি সম্ভাব্য স্থানান্তর নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।

ব্লুজের নতুন মালিকানা গোষ্ঠীরোনালদোর বৈশ্বিক আবেদনের সাথে একজন খেলোয়াড়কে সাইন ইন করার ধারণার দ্বারা আগ্রহী বলে মনে করা হয় এবং আর্থিক কোনও প্রতিবন্ধকতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যাইহোক, ম্যানেজার থমাস টুচেলকে সম্ভবত এই ধরনের যেকোনো চুক্তিতে তার আশীর্বাদ দিতে হবে: জার্মান কোচ রোমেলু লুকাকুকে সই করা ক্লাব-রেকর্ডের সেরাটা বের করতে পারেননি এবং তাকে ইন্টার মিলানে ফেরত দেওয়া হয়েছিল।

ইউনাইটেড রোনালদোকে প্রিমিয়ার লিগের প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে বিক্রি করতে চাইবে বলেও মনে হচ্ছে।যদিও ক্লাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা কিছুই নয়অপ্রয়োজনীয় এবং স্থানান্তর জল্পনা আরো stoking এড়াতে সরানোইংল্যান্ডের প্রতিবেদন অনুসারে, “পারিবারিক কারণে” রোনালদো সোমবার ফিরতে পারেননি, যা ক্লাব মেনে নিয়েছে।

রোনালদো শুক্রবার তাদের প্রাক-মৌসুম থাইল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া সফরের জন্য ইউনাইটেডের সাথে উড়ে যাবেন কিনা তা এই পর্যায়ে স্পষ্ট নয়। দ্য অ্যাথলেটিক-এর মতে, সেই ট্রিপে ফরোয়ার্ডের উপস্থিতিকে “অ-আলোচনাযোগ্য” হিসাবে দেখা হয়।

পর্তুগিজ ফুটবল সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে তার বর্তমান ক্লাব জুভেন্টাসের চুক্তি আছে ২০২২ সাল পর্যন্ত। এরপর তিনি ইচ্ছে করলে ইতালিতে থেকে যেতে পারবেন। আবার ইচ্ছে করলে অন্য কোনো ক্লাবেও চলে যেতে পারেন। তবে রোনালদোর সাবেক ম্যানইউ সতীর্থ নানী জানিয়েছেন রোনালদো হয়তো আর ইতালিতে থাকবেন না। তিনি চলে আসবেন আমেরিকাতে। আর আমেরিকার মেজর লিগ সকারের কোনো ক্লাবে যোগ দেবেন। কারণ রোনালদো তাকে একবার বলেছিল তার ইচ্ছা ক্যারিয়ারের শেষ সময়টা আমেরিকায় খেলে কাটাবেন। ইএসপিএনের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় এমনটাই জানিয়েছেন নানী। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে সে আমাকে বলেছিল ক্যারিয়ারের শেষ সময়টা হয়তো সে আমেরিকান লিগে খেলবে। এমনটা যে ১০০ ভাগ হবে তা কিন্তু নয়। তবে হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’

নানী নিজেও এখন খেলছেন আমেরিকাতে ওরলান্ডো সিটি এসসির হয়ে। আর রোনালদো যদি আমেরিকাতে যান তাহলে তিনি যোগ দিতে পারেন ইন্টার মিয়ামিতে। এই ইন্টার মিয়ামিতেই ক্যারিয়ারের পড়ন্ত বেলায় খেলেছিলেন ইংলিশ কিংবদন্তি ডেভিড ব্যাকহাম।

MD Siam Hossain