পদ্মা সেতু বাংলাদেশের সক্ষমতার পরিচায়ক বলে মন্তব্য করে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যসচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, একই সঙ্গে গত ১৩ বছরে সরকার যে বর্বর ও অমানবিক কাজ করেছে সেগুলোর জন্য তাদের নিন্দা সারা জীবন পেতে হবে।
তিনি বলেন, ৩ হাজার মানুষকে বিচারবহির্ভূতভাবে হত্যা করা, ৬০০ মানুষকে গুম করা, লাখ লাখ মানুষকে মামলার আসামি করা, ধর্মীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করাসহ শত শত অপরাধ ও পাপ করে তা একটা পদ্মা সেতু দিয়ে মোচন হবে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে বীর উত্তর মেজর হায়দার মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। ‘একজন নাগরিকের দৃষ্টিতে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ বাজেটের তদবির ও গতানুগতিকতা’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সভায় মূল আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান রাশেদ আল তিতুমীর। আরও বক্তৃতা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম। সভার সঞ্চালনায় ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম।
বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন বলেন, ‘সবকিছুর বিকল্প দেখানো হচ্ছে। যেমন বেগুনের দাম বেড়েছে, তাই কুমড়া কেনার কথা বলা হয়েছে ইত্যাদি। কিন্তু একবার যদি বলি, এই সরকার ঠিকভাবে কাজ করছে না। তার বিকল্প নিয়ে কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহ হবে। গণতন্ত্রের সীমাটাও সীমিত করে ফেলা হয়েছে। বলা হচ্ছে, “আমার অধীন থেকে গণতন্ত্র করতে হবে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, গত ১৩ বছরে বিনিয়োগ বাড়ছে সরকারি খাতে। বড় বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ বাড়ানো হচ্ছে। কিন্তু কর্মসংস্থানের বৃদ্ধি ঘটেছে কি সমানতালে? দেখা যাচ্ছে সমানতালে হচ্ছে না। ফলে একটা প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। প্রয়োজনীয় কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করছে না। কারণ, এর সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নীতি নেই।
সাকির অভিযোগ, সরকার বড় বড় প্রকল্প দেখাচ্ছে কিন্তু জনগণের জীবনমানের উন্নতি ঘটল কিনা, সে বিষয়ে ন্যূনতম চিন্তা তাদের নেই।সরকার এই পদ্মা সেতু নিয়ে পড়ে থাকার কারণে বাংলাদেশের অনেক বড়বড় ঘটনা চাপা পড়ে গেছে। সরকার পদ্মা সেতু উদ্ভোদন করতে গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে অনেক মন্তব্য করেছেন যেগুলো অনেকেই ভালো ভাবে মেনে নেয়নি।
বর্তমান বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ দুইটি রাজনৈতিক দলের মধ্যে একটি দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ। দলটির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে যদি প্রকাশ্যে এই ধরনের বক্তব্য আসে তাহলে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা কি কখনোই রাজনৈতিক শিষ্ঠাচার মেনে চলবে? সেটা আদৌ কখনো কি সম্ভব?
অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও সত্য যে, এই লোকগুলোই আজ রাষ্ট্রক্ষমতায় আছে। তাহলে তাদের কাছথেকে দেশ ও জাতি কি আসলেই ভালোকিছু পাবে?
স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব
আমাদের সমাজে একটি বাক্য প্রচলিত আছে যে, তুমি মেধাবী, তুমি ভালো। তাই তোমার জন্য রাজনীতি না!
তাহলে কি রাজনীতি চোর,বাটপার,দুর্নীতিবাজদের জন্য?
আপনি রাজনীতি করবেন কিনা সেটা একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে আমি মনে করি, সমাজের প্রতিটি সচেতন ও মেধাবী মানুষগুলো রাজনীতি না করলেও অন্ততপক্ষে আমাদের “রাজনৈতিক সচেতনতা” জরুরি।
রাজনৈতিক সচেতনতা যখনই আপনার মধ্যে বিরাজ করবে আপনি তখনই অনুধাবন করবেন। আপনি দেশের একজন নাগরিক হিসেবে শুধু আপনার দায়িত্ব এটা নয় যে, বছর শেষে যখন নির্বাচন আসবে। তখন কেন্দ্রে গিয়ে আপনি শুধু একটি ভোট দিবেন। আমরা এতোদিন শুধু ভোট দেওয়ার চিন্তা করেছি বলেই আজ ভোটের অধিকারটুকুও হারিয়ে ফেলেছি।
এখন ভোট আর দিনে হয়না। ভোট দিতে কষ্ট করে কেন্দ্রেও যেতে হয়না। মৃত মানুষও ভোট দেওয়ার জন্য জীবিত হয়। ১০-১৫ বছরেরও শিশু ও ইচ্ছেমত ভোট দিতে পারে।
রাজনৈতিক সচেতনতা সবার মাঝে বিরাজ করলে অন্তত শাসকগোষ্ঠী সাধারণ মানুষকে কলা দেখিয়ে ভুলাতে পারবেনা। সকল সেক্টরে জবাবদিহির আওতায় আসতে বাধ্য হবে।
মনে রাখবেন এই দেশ যখন ভালো থাকবে তখন আমি,আপনি সকলেই ভালো থাকবো। তাই বলবো মতাদর্শ আমাদের আলাদা হলেও দেশের প্রশ্নে কোন মতাদর্শই সামনে আসতে পারেনা।
যে রাজনীতি দেশ ও জনগনের কল্যাণে আসেনা। সেই রাজনীতি বর্জন করা সকল দেশ প্রেমীক নাগরিকের নৈতিক দায়িত্ব।
Leave a Reply