ঢাকা: আসন্ন ঈদুল-আজহা উপলক্ষ্যে পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় কিছু নির্দেশনা পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে এই নির্দেশিকা জারি করা হয় বলে সরকারি তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো: হাট বসানোর জন্য পর্যাপ্ত খোলা জায়গা নির্বাচন করতে হবে। কোনো অবস্থায় বদ্ধ জায়গায় হাট বসানো যাবে না।
হাট ইজারাদার কর্তৃক হাট বসানোর আগে মহামারি প্রতিরোধী সামগ্রী যেমন- মাস্ক, সাবান, জীবাণুমুক্তকরণ সামগ্রী ইত্যাদি সংগ্রহ করতে হবে। পরিষ্কার পানি সরবরাহ ও হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল সাবান/সাধারণ সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।নিরাপদ বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
পশুর হাটের সঙ্গে জড়িত সব কর্মকর্তা, কর্মচারী ও হাট কমিটির সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। হাট কমিটির সবার ব্যক্তিগত সুরক্ষা জোরদার করা এবং মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন বাস্তব
হাটের সঙ্গে জড়িত সব কর্মীদের স্বাস্থ্যবিধির নির্দেশনা দিতে হবে। জনস্বাস্থ্যের বিয়ষগুলি যেমন মাস্কের সঠিক ব্যবহার, হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার, শারীরিক দূরত্ব, হাত ধোয়া, জীবানুমুক্তকরণ বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিতে হবে। স্বাস্থ্যবিধিসমূহ সার্বক্ষণিক মাইকে প্রচার করতে হবে।
মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতা-বিক্রেতা হাটের ভেতরে প্রবেশ করতে পারবেন না। হাট কর্তৃপক্ষ চাইলে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করতে পারেন বা এর মূল্য নির্ধারণ করে দিতে পারেন।
প্রতিটি হাটে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ডিজিটাল পর্দায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি প্রচার করতে হবে।
পশুর হাটে প্রবেশের জন্য গেট (প্রবেশপথ ও বাহিরপথ) নির্দিষ্ট করতে হবে।
পর্যাপ্ত পানি ও ব্লিচিং পাউডার দিয়ে পশুর বর্জ্য দ্রুত পরিস্কার করতে হবে। কোথাও জলাবদ্ধতা তৈরি করা যাবে না।
প্রতিটি হাটে সিটি কর্পোরেশন/পৌরসভা/ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক এক বা একাধিক ভ্রাম্যমান স্বেচ্ছাসেবী মেডিকেল টিম গঠন করে সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। মেডিক্যাল টিমের কাছে শরীরের তাপমাত্রা মাপার জন্য ডিজিটাল থার্মোমিটার রাখা যেতে পারে, যাতে প্রয়োজনে হাটে আসা সন্দেহজনক করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের দ্রুত চিহ্নিত করা যায়। এছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে রোগীকে আলাদা করে রাখার জন্য প্রতিটি হাটে একটি আইসোলেশন ইউনিট (একটি আলাদা কক্ষ) রাখা যেতে পারে।
একটি পশুর থেকে আরেকটা পশু এমনভাবে রাখতে হবে যেন ক্রেতারা কমপক্ষে ৩ ফুট বা ২ হাত দূরত্ব বজায় রেখে পশু কিনতে পারেন।
ভিড় এড়াতে মূল্য পরিশোধ ও হাসিল আদায় কাউন্টারের সংখ্যা বাড়াতে হবে। মূল্য পরিশোধের সময় সারিবদ্ধভাবে লাইনে দাঁড়ানোর সময়কাল যেন কম হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। লাইনে ৩ ফুট বা কমপক্ষে ২ হাত দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়াতে হবে। প্রয়োজনে রেখা টেনে বা গোল চিহ্ন দিতে হবে।
সব পশু একত্রে হাটে না এনে, হাটের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী পশু প্রবেশ করাতে হবে।
হাটের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী, নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করা সম্ভব, এমন সংখ্যক ক্রেতাকে হাটে প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে। অবশিষ্ট ক্রেতারা হাটের বাহিরে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে অপেক্ষা করবেন। ১টি পশু কেনার জন্য ১ বা ২ জনের বেশি ক্রেতা হাটে প্রবেশ করবেন না।
অনলাইনে পশু কেনা-বেচার জন্য জনগণকে উৎসাহিত করা যেতে পারে।
স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শ্রঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে সকল কাজ নিশ্চিত করতে হবে।এছাড়াও সকাল মানুষকে তাদের নিজেদেরকে একটু সতর্ক ভাবে হাটে গরু কেনা বেচা করতে হবে।আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষই মুসলমান সম্প্রদায়ের লোক।তাই আমাদের বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই কোরবানি দিয়ে থাকেন। আগে সবাই কোরবানির গরু তারা হাটে গিয়ে কিনত কিন্তু এখন আমাদের দেশে ওইরকম পরিস্থিতি নাই কারন এখন করোনার জন্য অনেক বিধিনিষেধ আছে যেগুলো আমাদেরকে মেনে চলতে হবে।
আমাদের দেশে প্রায় ১৭০০০ হাজার গরুর ফার্ম রয়েছে। আমাদের দেশে গরুর চাহিদা আগের তুলনায় অনেক বাড়ছে তাই এখন অনেক খামারিরা গরু পালন করছেন। আমাদের দেশে কোরবানির গরুর চাহিদা বেশি বলে আমাদের দেশের খামারিরা সেই চাহিধা পুরোন করতে পারে না তাই কোরবানির ঈদের সময় বিভিন্ন দেশ থেকে আামাদের দেশে গরু আনা হয়।এবারের ঈদেও তার ব্যাতিক্রম হবে না আসা করি।
বাংলাদেশ এখন অনলাইনের মাধ্যমে সবকিছু বেচাকেনা করা যায় এমনকি এখন আমাদের দেশে অনলাইনে গরু কেনাবেচা করা যায়। তাই বেশিরভাগ মানুষই এখন হাটে না গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে গরু কেনাবেচা করেন।এতে উভয়েরই লাভ হয়ে থাকে। যে গরু বেচে তার কষ্ট করে হাটে নেওয়া লাগে না এবং তার গরু হাটে না নেওয়াতে তার কষ্ট কম হয়।যে গরু কিনবে তার হাটে যাওয়ার কোন প্রয়োজন হয় না কারণ সে অনলাইনের মাধ্যমে তার পছন্দের গরুটি কিনতে পারেন। এই পদ্ধতিতে যে গরু বেচে এবং যে গরু কিনে তাদের উভয়েরই লাভ হয়।আমাদের দেশে এখন মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে গরু বেচাকেনা করে থাকেন।
গরু বেচাকেনা জন্য সরকারি ভাবে যে বিধিনিষেধ দেওয়া আছে তা আমাদের অবশ্যই পালন করা উচিত। হাটে বেশি মানুষ গিয়ে অযথা ভির না করা একটি গরু কিনতে বেশি মানুষ না আসা।নিরাপদ দুরত্ব বজায় রেখে গরুর হাটে যাওয়া এইসব বিষয় গুলো আমাদেরকে মাথায় রেখে গরুর হাটে যাওয়া।
Leave a Reply