আইটি সেক্টরে চাহিদা রয়েছে কয়েক লাখ মানুষের, একজন আইটি সেক্টরে দক্ষ লোক পৃথিবীর যে কোন জায়গায় শুধুমাত্র দক্ষতার জোরে চাকরি পেতে পারেন। আমরা জানি আইটিতে দক্ষ লোক কখনো বেকার থাকেনা আর তারা চাকরীর উপর নির্ভরশীল থাকেন না। একজন আইটি সেক্টরের পেশাজীবী বিশ্বমানের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন বাড়িতে বসেই।
সে চিন্তা করেই হাফিজুল ইসলাম বিভিন্ন ভাবে আইটি সেক্টরে নিজেকে দক্ষ গড়ে তুলছেন এবং পাশাপাশি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আইটি ট্রেনিং দিয়ে যাচ্ছেন।
মোঃ হাফিজুল ইসলাম 2002 সালে পহেলা ডিসেম্বর ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলা, পাথরঘাটা পৌরসভার 5 নং ওয়ার্ড বড়ইতলা। পিতা- মোঃ আব্দুল লতিফ এবং মাতা- হোসনেরা বেগমের চার সন্তানের মধ্যে তিনি বড় সন্তান। তার একটি ভাই এবং দুটি বোন রয়েছে, তার ছোট ভাই-বোনেরা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছে। পিতা কন্টাক্টরের কাজ করেন এবং মা গৃহিনী।
মোঃ হাফিজুল ইসলাম তিনি ছোটবেলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেছেন এবং 2011 সালে হাফিজি পাস করেছেন তারপরে কওমিয়া মাদ্রাসায় কয়েক বছর লেখাপড়া করে আলিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি হয়েছেন, আলিয়া মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে ডিপ্লোমাতে কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করেছেন।
তিনি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে ইনকাম করছেন, তার কাজ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডেভলপমেন্ট, সিপিএ মার্কেটিং নিয়ে কাজ করছি! যার মাধ্যমে প্রতিমাসে গড়ে 60 থেকে 70 হাজার টাকা ইনকাম হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।
তিনি মনে করেন, এখন দেশের প্রথম দশটি রপ্তানি সেক্টর এর মধ্যে আইটি সেক্টরে স্থান অনেক এগিয়ে রয়েছে, প্রায় 200 মিলিয়ন এর ও বেশী আইটি সেক্টররের একটি বাজার তৈরি হয়েছে। যেখানে বিভিন্ন উন্নত দেশের আইটি সেক্টরে ওয়েব ডিজাইন ডেভেলপমেন্ট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং সেক্টর এখন বিশ্বমানের।
বিশ্বের অনেক বড় বড় কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠান তাদের যাবতীয় গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন ও আইটির কাজ বাংলাদেশের আইটি অভিজ্ঞ লোকদের মাধ্যমে করিয়ে নিচ্ছে, এই সুযোগকে কাজে লাগাতে আইটি সেক্টরে দক্ষ জনবল দরকার।
হাফিজুল ইসলাম বলেন, কাজ করার ক্ষেত্রে কখনো ধৈর্য হারা হওয়া যাবে না খুব বেশি ধৈর্যশীল হতে হবে, যে কোন কাজ প্রাকটিস করার সময় স্টেপ বাই স্টেপ বুঝে বুঝে প্র্যাকটিস করতে হবে এবং অনেক বেশি প্র্যাকটিস করার মানসিকতা থাকতে হবে, আমরা যখন কম্পিউটারে কোন প্রোগ্রামিং করতে বসি তখন কোন ইরোর দেখা দিলে আমরা হতাশ হয়ে যাই এবং হাল ছেড়ে দেই কিন্তু সেখানে হাল ছেড়ে না দিয়ে খুব বেশি অধ্যবসায় করতে হবে এবং খুব বেশি সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করতে হবে, প্র্যাকটিস এর কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরো বলেন, আমি কখনো বাহিরে কোন ট্রেনিং সেন্টারে কোর্স করিনি, এই পর্যন্ত যা কিছু শিখেছি সবকিছু নিজের ইচ্ছায় শিখেছি, নিজকে সব সময় ব্যস্ত রেখেছি, একমাত্র শিখার মাধ্যম ছিলো গুগোল এবং ইউটিউব, আমি প্রোগ্রামিং করার সময় যে কোন সমস্যা দেখা দিলে সেই সমস্যা সমাধান করার জন্য Google এবং youtube-এর সম্মুখীন হয়েছি এবং তার থেকেই সমাধান পেয়েছি। অনেক সময় সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে রাত পার হয়ে সকাল হয়ে গেছে! তারপরেও লেগে ছিলাম। তাই বলবো আপনার ভিতরে যদি ইচ্ছে থাকে এবং ইচ্ছে অনুযায়ী পরিশ্রম করতে পারেন তবে সফল আপনি হবেন ই ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, আমি একটি দক্ষ টিম তৈরি করেছি যে টিমকে ফ্রিতে সার্বক্ষণিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছি এবং তাদেরকে কাজ শিখাচ্ছি, এই দক্ষ টিমটি বাংলাদেশে যাতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে সে চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
“কম্পিউটার বেসিক” ফ্রী কোর্স করতে এখানে ক্লিক করুন
হাফিজুল ইসলাম আইটি সেক্টরের বিভিন্ন কোর্স করিয়ে থাকেন, বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তরুণদেরকে ফ্রী ট্রেনিং দিয়ে যাচ্ছেন এবং সেই ক্লাসের ভিডিও গুলো তার নিজস্ব ফেসবুক 𝐌𝐝 𝐇𝐚𝐟𝐢𝐳𝐮𝐥 𝐈𝐬𝐥𝐚𝐦 পেইজে আপলোড করে থাকেন যাতে করে সেখান থেকে ভিডিওগুলো দেখে ভালোমতো প্র্যাক্টিস করতে পারেন।
হাফিজুল ইসলাম বলেন বর্তমান আধুনিক যুগে প্রত্যেক শিক্ষিত মানুষের কম্পিউটারের বেসিক জ্ঞান থাকা আবশ্যক, তাই সকল শিক্ষিত যুবক যাতে করে ঘরে বসেই কম্পিউটার বেসিক সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারেন সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছি।
হাফিজুল ইসলাম এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, “আইটি সেক্টরে একজন লিজেন্ড হবো” সেটার জন্য যোগ্যতা অর্জন করেই তারপর সেই জায়গাতে বসতে চাই আর সেই যোগ্যতা অর্জনের জন্য চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোতে নিজেকে যুক্ত রাখছি, একজন লিজেন্ড এর নেতৃত্ব দেওয়ার যোগ্যতা লাগে, ধৈর্য লাগে, যে কোন বিপদ মোকাবেলার মত বুদ্ধি লাগে, সাহস লাগে, সেই সব যোগ্যতাগুলো অর্জনের চেষ্টা করে যাচ্ছি আর সেজন্যই আমার টাকার নেশা নাই! যোগ্যতা অর্জনের নেশা বেশি, সে যোগ্যতা আমাকে সেরাদের কাতারে নিয়ে যাবে সে যোগ্যতা অর্জন করতে প্রতিনিয়ত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
Leave a Reply